মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে পটুয়াখালী জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এ.কে. এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী জেলার সম্মানিত জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সিভিল সোসাইটির সাথে আলোচনা ক্রমে ২০১৬ সালে সাবেক মহকুমা প্রশাসকের বাসভবন, এসডিও রোড, পটুয়াখালীতে ‘পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সারা দেশে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি স্কুলের নামে সামঞ্জস্য আনার লক্ষ্যে ‘পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এর পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় ‘পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামকরণ করা হয়। বর্তমানে পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে পাঠদান কার্যক্রম ও সহ পাঠক্রমিক র্কাযাবলী ফলতার সাথে পরিচালনা করছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩য় থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ছাত্র/ছাত্রী পাঠদানের জন্য ২৪ জন দক্ষ শিক্ষক এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ০৭ জন কর্মচারী কর্মরত আছে। পাবলিক পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ভাগ ফলাফল অর্জন করছে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম ও উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানটির দৃপ্ত পদচারনা বিদ্যমান। জেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় বিধায় এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ জেলায় জনগণ ও অভিভাবকদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা অনেক বেশী। সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বর্তমান প্রজন্মকে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করতে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রতিষ্ঠানে একটি নতুন ওয়েব সাইট তৈরি করা হয়েছে, সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এবং সেবা প্রদান সংক্রান্ত সকল তথ্য অন্তর্ভূক্ত আছে যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাক, এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আমি প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

কলেজটির বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহঃ

যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা।

সিসি ক্যামেরার সাহায্যে সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হয়।

কমাল্টিমিডিয়া ক্লাসের ব্যবস্থা।

সেমিষ্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাদান।

অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষক কর্তৃক পাঠাদানের ব্যবস্থা।

গাইড এন্ড মোটিভেশন ক্লাশ।

ছাত্রদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা।

সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটারের সু-ব্যবস্থা।

কলেজ ক্যাম্পাস রাজনীতি, সন্ত্রাস, ধূমপান ও মাদক মুক্ত।

সার্বাক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ।

আইসিটি ল্যাবের সু-ব্যবস্থা।

প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-কানুন সমূহ

ইউনিফর্ম ছাড়া কোন ছাত্র/ ছাত্রী কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত কাউকে নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।

ক্লাশ রুমে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

কলেজ ক্যাম্পাসে এবং কলেজে আসা-যাওয়ার পথে সকলের সাথে মার্জিত ও বিনয়ী আচরণ করতে হবে।

শতকরা নব্বই ভাগ ক্লাশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

সাপ্তাহিক, সেমিষ্টার ও মডেল টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

কলেজ চলাকালীন সময়ে ড্রেস পরিধান করে অন্যত্র চলাফেরা নিষিদ্ধ।